ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া সরকারি কলেজ লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় বইপড়া নিয়ে বিপাকে হাজারো শিক্ষার্থীরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ১৮মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি নির্দেশার আলোকে ইতোমধ্যে সারাদেশের মতো কক্সবাজারের চকরিয়া সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তবে অভিযোগ উঠেছে, দুইজন লাইব্রেরীয়ান কলেজে কর্মরত থাকলেও অধ্যবদি কলেজের নতুন ভবনের ততৃীয়তলায় অবস্থিব লাইব্রেরী কার্যক্রম সচল হয়নি। এই অবস্থার কারণে কলেজে পুরাতন শিক্ষাবর্ষের পাশাপাশি নতুন শিক্ষাবর্ষের অধ্যায়নরত হাজারো শিক্ষার্থী লাইব্রেরীর বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি কলেজে প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং সরকারি আদেশ পালনে এইধরণের অবহেলা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির আলোকে এখনো কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সুত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনার আলোকে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে চকরিয়া সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু কলেজের নতুন ভবনের তৃতীয়তলায় অবস্থিত লাইব্রেরীটি অদ্যবদি একদিনের জন্যও খোলা হয়নি। এই অবস্থায় কলেজে পুরাতন শিক্ষাবর্ষের পাশাপাশি নতুন শিক্ষাবর্ষের অধ্যায়নরত হাজারো শিক্ষার্থী লাইব্রেরীর বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে

একাধিক শিক্ষার্থীরা চকরিয়া নিউজকে জানান, চকরিয়া সরকারি কলেজে জাহাংগীর আলম ও শাহীন আক্তার নামের দুইজন লাইব্রেরীয়ান কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা কলেজে আসলেও লাইব্রেরীটি বন্ধ রয়েছে এখনো। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, দুইজন লাইব্রেরীয়ান থাকার পরও কেন লাইব্রেরী বন্ধ থাকে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা।

জানা গেছে, করোনা সংকটের কারণে ২০২০ সালে বিপুল টাকা লোকসান দেয়ার পর চলতি ২০২১ সালে বই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ এখনো একাদশ দ্বাদশ, ডিগ্রি ও অর্নাসের কোন বই এখনো বাজারে সরবরাহ করেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলেও লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় সেখানে রক্ষিত উল্লেখিত শ্রেণীর কোন বই পড়তে পারছেনা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সবার পড়ার সুবির্থাতে লাইব্রেরী কার্যক্রম চালু করা হোক। পাশাপাশি একসঙ্গে বিপুল শিক্ষার্থী যাতে দুরত্ব বজায় রেখে পড়তে পারে সেইজন্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য একটি ভবনে এবং ডিগ্রি ও অর্নাসের শিক্ষার্থীদের অন্য একটি ভবনে লাইবেব্রী কার্যক্রম বিন্যাস করা হোক। পাশাপাশি উল্লেখিত লাইব্রেরী বন্ধ রেখে অবহেলার বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

পাঠকের মতামত: